পুরো রমজান মাস বন্ধ থাকবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়: হাইকোর্ট

দেশের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় রমজান মাসজুড়ে বন্ধ থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রমজানের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১৫ দিন বেসরকারি নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন।








বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার রুলসহ এ আদেশ দেন।

এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ ও মাহমুদা খানম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. সাইফুজ্জামান।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনে রমজানের সময় ১৫ দিন বেসরকারি নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার কথা বলা হয়।

অন্যদিকে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রমজানের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।

উভয় সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন শফিউর রহমান চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি।

সূত্র: দৈনিক সমকাল


রমজানে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট

পবিত্র রমজানের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং সরকারি-বেসরকারি নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম ১৫ দিন চালু রাখার সিদ্ধান্ত দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।



এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার রুলসহ এ আদেশ দেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনে রমজানের সময় ১৫ দিন সরকারি-বেসরকারি নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার কথা বলা হয়। রমজানের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। উভয় সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক শফিউর রহমান চৌধুরী।

রিট আবেদন থেকে জানা যায়, গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক স্মারকে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বার্ষিক ছুটির তালিকায় এক প্রজ্ঞাপনে পবিত্র রমজান মাসের ৩০ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ৮ ফেব্রুয়ারি রমজানের প্রথম ১০ দিন প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার নোটিশ জারি করে। আবেদনকারীর মেয়ে ঢাকার রাজাবাজারের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। গত ৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা বিভাগের অপর এক স্মারক অনুসারে রমজান মাসের প্রথম ১৫ দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার নোটিশ জারি করা হয়।

রিট আবেদনকারীর ভাষ্য, সংবিধানের ২ ক অনুযায়ী ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ এবং ৩১ অনুচ্ছেদ অনুসারে আইনানুযায়ী ব্যতীত এমন কোনো কিছুই করা যাবে না।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ ও আইনজীবী মাহমুদা খানম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল রেহেনা সুলতানা।

পরে আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ প্রথম আলোকে বলেন, পবিত্র রমজানে ৩০ দিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে বলে প্রথমে একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়। তা সংশোধন করে রমজানের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং প্রথম ১৫ দিন সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে বলে পৃথক সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। এই দুই সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফলে পবিত্র রমজানে ৩০ দিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।

অবশ্য ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।


সূত্র: প্রথম আলো, ১০ মার্চ ২০২৪

আমার ভিন্ন বিশ্বাস-সংক্রান্ত লেখাগুলো মানুষ কেন পড়ছে না? কেন পড়া উচিত?

আমার ভিন্ন বিশ্বাস-সংক্রান্ত লেখাগুলোর প্রতি তেমন কারো আগ্রহ নেই। কারণ-

* প্রতিষ্ঠিত বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কিছু শুনতে আমরা অভ্যস্থ নই।

* বিজ্ঞানের প্রতি আমাদের অতি বিশ্বাস, আস্থা এবং ভক্তি।

* আমরা মনে করি, পৃথিবীতে নতুন করে প্রতিষ্ঠিত হবার মতো কোনো বিশ্বাস আর বাকি নেই।

* বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করতে হলে বিজ্ঞানের অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা তো নয়ই, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাও শুধু নয়, বিজ্ঞানে উচ্চতর ডিগ্রী থাকা আবশ্যক।

* বিজ্ঞানে কারো উচ্চতর ডিগ্রী দূরে থাক, বিজ্ঞানের প্রাতিষ্ঠানিক ছাত্রও নয়, এমনকি মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ডের কারো মুখে বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত অনেক বিশ্বাস-বিরোধী কথাকে আমরা একেবারে অর্থহীন মনে করি।

* আমাকে ব্যক্তিগতভাবে যারা চেনেন, আমার এই সংক্রান্ত লেখাগুলো তাদের কাছে অন্যদের চেয়ে একটু বেশি-ই অনর্থক। কারণ- ‘‘বাড়ির গরু . . . ’’।

* ডাক্তাররা যেসব বিশ্বাসের পক্ষে একই সূরে কথা বলেন, সেসব বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের কোনো কথা-ই অর্থবহ হতে পারে না বলেই আমরা মনে করি।

* আমার কোনো বক্তব্য ল্যাবে পরীক্ষিত নয়।

* আরো অনেক কারণ থাকতে পারে, যা আমার অজানা।


    তবু আমার লেখাগুলো আপনার পড়া উচিত। কারণ এগুলো না পড়লে অনেক বিভ্রান্তির মধ্যেই আপনার বাকিটা জীবনও কেটে যাবে, যেভাবে কেটেছে আপনার অতীত; আপনি প্রতারিত হতেই থাকবেন বিজ্ঞানের ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত প্রতারণায়; বিজ্ঞানসৃষ্ট অনেক সূচিবায়ু, কুসংস্কার, গুজব ও অপ্রয়োজনীয় ভয় আপনার জীবনকে সব সময় কিছুটা অন্ধকার, কিছুটা কঠিন ও কিছুটা ভীত করেই রাখবে। যেমন-


* মশা মানুষের শরীরে অনেক রোগ সৃষ্টি করে বা ছড়ায়।


এই বিষয়ে আমার লেখাটি পড়ুন এখানে ক্লিক করে


* টেনশন করলে মানুষ হার্ট অ্যাটাক এবং ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়।


এই বিষয়ে আমার লেখাটি পড়ুন এখানে ক্লিক করে 


* চিনি/মিষ্টি মানুষের শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী।


এই বিষয়ে আমার লেখাটি পড়ুন এখানে ক্লিক করে


* ভাইরাস এবং রোগজীবাণু নামক আলাদা শক্তিশালী অদৃশ্য বস্তু আছে, যেগুলো মানুষকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে সাহায্য করে।


এই বিষয়ে আমার লেখাটি পড়ুন এখানে ক্লিক করে 


* ধূমপান এবং তামাক সেবনে মানুষের শরীরে ক্যান্সার, ব্রেইন স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগ দেখা দেয়।


এই বিষয়ে আমার লেখাটি পড়ুন এখানে ক্লিক কর


* পৃথিবীতে বায়ুবাহিত এবং ছোঁয়াচে অনেক রোগ আছে। যেমন: চোখ ওঠা, পক্স, নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা, এলার্জি ইত্যাদি।


চোখ ওঠা রোগ (কনজাংটিভাইটিস) কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয় 


চোখ ওঠা এবং জলবসন্ত (পক্স) কি সত্যিই ছোঁয়াচে রোগ? 


নিউমোনিয়া এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা কি ছোঁয়াচে রোগ? 


একটি নিরীক্ষা প্রমাণ করবে, ছোঁয়াচে বা বায়ুবাহিত কোনো রোগ নেই


* পূর্বপুরুষ আক্রান্ত হয়েছেন, এমন কোনো রোগে উত্তরপুরুষদের কেউ আক্রান্ত হওয়া মানেই রোগটিতে সে বংশগত কারণেই আক্রান্ত হয়েছে, অন্য কোনো কারণে নয়।


এই বিষয়ে দৈনিক নয়াদিগন্তে প্রকাশিত আমার লেখাটি পড়ুন এখানে ক্লিক করে 


বংশগত রোগ নিয়ে মনের ভয় দূর করুন


ডায়াবেটিসকে বংশগত রোগ বলে প্রচার করার ক্ষতি 


* লবণ খাওয়াও উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হবার একটি কারণ।


লবণ খাওয়ার সাথে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হবার কোনো সম্পর্ক নেই


আমার লেখাগুলোর প্রায় সবগুলো যুক্তি দিয়ে লেখা হয়েছে। অধিকাংশ লেখায় যুক্তির পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক এক বা অনেক রেফারেন্স উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া প্রায় সব লেখায় আমার মতামর্তে পক্ষে মতামতটি বাস্তবেই সঠিক কিনা, তা যাচাইয়ের বাস্তসম্মত পন্থা উল্লেখ করা হয়েছে।

আমার অধিকাংশ লেখা অনেক বড় বড়। যে কোনো প্রতিষ্ঠিত বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কিছু লিখতে গেলে তা বিস্তারিতভাবে লেখার দাবি রাখে। নয়তো বুঝতে কষ্ট হয়।

আপনি যদি প্রচলিত বিশ্বাস বা গৎবাঁধা বিশ্বাস নিয়েই জীবন কাটাতে চান, তাহলে আমার লেখাগুলো থেকে দূরে থাকবেন। আর যদি নতুন ধারণার সাথে পরিচিত হতে চান, তাহলে আমার লেখার জগতে আপনাকে স্বাগতম।