দাঁতের যত্ন নেবেন কিভাবে?
আমাদের শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো খুবই অমূল্য। এমন অনেক অঙ্গ আছে, যেগুলোর দাম মূল্য দিয়ে নির্ধারণ করা অসম্ভব। যেমন: চোখ। খুব নিরীহ একজন লোক, যে ঠিকমতো খেতেও পায় না, আপনি যদি তাকে তার একটি চোখ আপনার নিকট এক কোটি টাকা বিক্রি করতে বলেন, সে রাজি হবে না। অথচ চোখগুলো দিয়ে তার প্রত্যক্ষ কোনো আয় হয় না। এভাবে আমাদের হাত, পা, দাঁত এসব অঙ্গের মূল্যও নিরূপন করা অসম্ভব। এজন্য এসব অঙ্গের যতœ নেয়া আমাদের অবশ্যই প্রয়োজন, যাতে অকালে এসব অঙ্গ অকেজো না হয়ে যায়। হ্যাঁ, শরীরের কিছু কিছু অঙ্গ আমাদের সচেতনতার অভাবে অকালে নষ্ট হয়ে যায়। যেমন: দাঁত।
অকালে দাঁত বিভিন্নভাবে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যেমন: দাঁত ক্ষয় হয়ে যেতে পারে, দাঁতের রং নষ্ট হয়ে কালো বা লাল হয়ে যেতে পারে, দাঁত পড়ে যেতে পারে। কেনো অকালে দাঁতে এসব সমস্যা দেখা দেয়? আমি মনে করি, এসব সমস্যার জন্য আমাদের পান খাওয়ার অভ্যাসটাই প্রধান দায়ী। কথাটা অনেকে সহজে হজম করতে পারবেন না, জানি। কথাটার পক্ষে প্রথম প্রমাণ হচ্ছে, ছাত্রজীবনে আমি দেখেছি আমাদের অনেক শিক্ষক পান খান না। তাঁদের দাঁত দেখলাম বৃদ্ধ বয়সেও অটুট, অক্ষয়, মজবুত এবং ধবধবে সাদা। অন্যদিকে যারা পান বেশি বেশি খায়, আমার পরিচিত এমন অনেক মানুষের দাঁত দেখলাম ডিস্কালার তো হয়েই গেছে, অনেকের দাঁত ক্ষয়ও হয়ে গেছে। কথাটি এখনো যাদের বিশ্বাস হয়নি, তারা তাদের পরিচিত পানখোরদের উপর ছোটখাটো একটি জরিপ চালালে দেখবে কথাটি যে আসলেই সত্য। পাশাপাশি যাদের পান খাওয়ার অভ্যেস নেই তাদের উপর আরেকটি জরিপ চালালে দেখা যাবে, পান না খাওয়া যে আমাদের দাঁতের জন্য কতো কল্যাণকর।
এবার যুক্তিতে আসি। একটি চেয়ার বা জুতা যতো বেশি ব্যবহার করা হয়, সেটি ততো বেশি ক্ষয় হয়ে যায়। এভাবে লাকড়ির চুলায় একটি পাতিল দিয়ে যতো বেশি রান্না করা হয়, পাতিলের তলা ততো বেশি কালো হয়ে যায়। বেশি বেশি পান খেলেও যেহেতু দাঁতের ব্যবহার বেশি বেশি হয়, তাই অকালে দাঁত ক্ষয় হয়ে যায় এবং পান-সুপারি খেলে মুখ লাল হয়ে যাওয়ার কারণে অকালে দাঁত লাল বা কালো রং ধারণ করে। পান খেয়ে খেয়ে এরকম বিশ্রী হয়ে যাওয়া দাঁতের মানুষ আমি অনেক দেখেছি। এটা নিশ্চিত, পান না খেলে তাদের দাঁত এমন নোংরা হতো না।
আমার অবাক লাগে, তবু আমাদের সমাজে অনেকে বলে থাকেন, পান খেলে নাকি দাঁত ভালো থাকে, শক্ত থাকে! কেমন অযৌক্তিক কথা! তবে যারা খুব লিমিটের মধ্যে পান খেয়ে থাকেন এবং রীতিমতো দাঁত ব্রাশ করেন, তাদের দাঁত ভালো থাকতেই পারে। এজন্য পান খাওয়ার লোভ যারা সংবরণ করতে পারেন না, তাদের প্রতি পরামর্শ রইলো, পান খেতে পারেন, তবে মাঝেমধ্যে এবং পান খাওয়ার পর পর না হলেও নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করুন, আপনার দাঁতে তেমন কোনো সমস্যা দেখা দিবে না আশা করি।
দাঁতের যত্ন সম্পর্কে আমাদের আরেকটি ভূল ধারণার কথা বলি। আমরা সাধারণতঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করি। কারণ সকালে ঘুম থেকে উঠার পর আগের দিন যেসব খাবার খেলাম, সেসবের বিভিন্ন অংশ দাঁতের ফাঁকে ফাঁকে আটকে থাকার কারণে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠলে দেখা যায় মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। তাই দুর্গন্ধ দূর করার জন্য আমরা তাড়াতাড়ি দাঁত ব্রাশ করে নিই। কিন্তু আমরা কখনো ভাবি না, দাঁত ব্রাশ করার সর্বোত্তম সময় হচ্ছে রাতে শোবার আগে। কারণ রাতে শোবার আগে আগে দাঁত ব্রাশ করে নিলে আর খাবারের কণাগুলো রাতভর দাঁতের ফাঁকে আটকে থেকে মুখে পঁচে যাওয়ার সুযোগ হয় না এবং মুখে কোনো জীবাণুও সৃষ্টি হতে পারে না। এজন্য শোবার আগে দাঁত ব্রাশ করে নিলে সকালে মুখে আর কোনা দুর্গন্ধ হয় না। এমনকি সকালে ব্রাশ করারও আর তেমন কোনো প্রয়োজন পড়ে না।
তবে দাঁত ভালো রাখার শ্রেষ্ঠ উপায় হচ্ছে, প্রতিবার আহারের পর দাঁত ব্রাশ করা। তাহলে মুখে আর অবাঞ্চিত কোনো গন্ধ হয় না, দাঁতও দীর্ঘদিন ভালো থাকার সম্ভাবনা থাকে। তা সম্ভব না হলে দিনে অন্ততঃ দু’বার, শোয়ার আগে ও পরে দাঁত ব্রাশ করা উচিত। বিশেষ করে শোয়ার আগে।
সর্বশেষ কথা হচ্ছে, পান না খেলেও এবং নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলেও দাঁতে সমস্যা হতে পারে, সেটা কেবলই দুর্ভাগ্য।
অকালে দাঁত বিভিন্নভাবে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যেমন: দাঁত ক্ষয় হয়ে যেতে পারে, দাঁতের রং নষ্ট হয়ে কালো বা লাল হয়ে যেতে পারে, দাঁত পড়ে যেতে পারে। কেনো অকালে দাঁতে এসব সমস্যা দেখা দেয়? আমি মনে করি, এসব সমস্যার জন্য আমাদের পান খাওয়ার অভ্যাসটাই প্রধান দায়ী। কথাটা অনেকে সহজে হজম করতে পারবেন না, জানি। কথাটার পক্ষে প্রথম প্রমাণ হচ্ছে, ছাত্রজীবনে আমি দেখেছি আমাদের অনেক শিক্ষক পান খান না। তাঁদের দাঁত দেখলাম বৃদ্ধ বয়সেও অটুট, অক্ষয়, মজবুত এবং ধবধবে সাদা। অন্যদিকে যারা পান বেশি বেশি খায়, আমার পরিচিত এমন অনেক মানুষের দাঁত দেখলাম ডিস্কালার তো হয়েই গেছে, অনেকের দাঁত ক্ষয়ও হয়ে গেছে। কথাটি এখনো যাদের বিশ্বাস হয়নি, তারা তাদের পরিচিত পানখোরদের উপর ছোটখাটো একটি জরিপ চালালে দেখবে কথাটি যে আসলেই সত্য। পাশাপাশি যাদের পান খাওয়ার অভ্যেস নেই তাদের উপর আরেকটি জরিপ চালালে দেখা যাবে, পান না খাওয়া যে আমাদের দাঁতের জন্য কতো কল্যাণকর।
এবার যুক্তিতে আসি। একটি চেয়ার বা জুতা যতো বেশি ব্যবহার করা হয়, সেটি ততো বেশি ক্ষয় হয়ে যায়। এভাবে লাকড়ির চুলায় একটি পাতিল দিয়ে যতো বেশি রান্না করা হয়, পাতিলের তলা ততো বেশি কালো হয়ে যায়। বেশি বেশি পান খেলেও যেহেতু দাঁতের ব্যবহার বেশি বেশি হয়, তাই অকালে দাঁত ক্ষয় হয়ে যায় এবং পান-সুপারি খেলে মুখ লাল হয়ে যাওয়ার কারণে অকালে দাঁত লাল বা কালো রং ধারণ করে। পান খেয়ে খেয়ে এরকম বিশ্রী হয়ে যাওয়া দাঁতের মানুষ আমি অনেক দেখেছি। এটা নিশ্চিত, পান না খেলে তাদের দাঁত এমন নোংরা হতো না।
আমার অবাক লাগে, তবু আমাদের সমাজে অনেকে বলে থাকেন, পান খেলে নাকি দাঁত ভালো থাকে, শক্ত থাকে! কেমন অযৌক্তিক কথা! তবে যারা খুব লিমিটের মধ্যে পান খেয়ে থাকেন এবং রীতিমতো দাঁত ব্রাশ করেন, তাদের দাঁত ভালো থাকতেই পারে। এজন্য পান খাওয়ার লোভ যারা সংবরণ করতে পারেন না, তাদের প্রতি পরামর্শ রইলো, পান খেতে পারেন, তবে মাঝেমধ্যে এবং পান খাওয়ার পর পর না হলেও নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করুন, আপনার দাঁতে তেমন কোনো সমস্যা দেখা দিবে না আশা করি।
দাঁতের যত্ন সম্পর্কে আমাদের আরেকটি ভূল ধারণার কথা বলি। আমরা সাধারণতঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করি। কারণ সকালে ঘুম থেকে উঠার পর আগের দিন যেসব খাবার খেলাম, সেসবের বিভিন্ন অংশ দাঁতের ফাঁকে ফাঁকে আটকে থাকার কারণে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠলে দেখা যায় মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। তাই দুর্গন্ধ দূর করার জন্য আমরা তাড়াতাড়ি দাঁত ব্রাশ করে নিই। কিন্তু আমরা কখনো ভাবি না, দাঁত ব্রাশ করার সর্বোত্তম সময় হচ্ছে রাতে শোবার আগে। কারণ রাতে শোবার আগে আগে দাঁত ব্রাশ করে নিলে আর খাবারের কণাগুলো রাতভর দাঁতের ফাঁকে আটকে থেকে মুখে পঁচে যাওয়ার সুযোগ হয় না এবং মুখে কোনো জীবাণুও সৃষ্টি হতে পারে না। এজন্য শোবার আগে দাঁত ব্রাশ করে নিলে সকালে মুখে আর কোনা দুর্গন্ধ হয় না। এমনকি সকালে ব্রাশ করারও আর তেমন কোনো প্রয়োজন পড়ে না।
তবে দাঁত ভালো রাখার শ্রেষ্ঠ উপায় হচ্ছে, প্রতিবার আহারের পর দাঁত ব্রাশ করা। তাহলে মুখে আর অবাঞ্চিত কোনো গন্ধ হয় না, দাঁতও দীর্ঘদিন ভালো থাকার সম্ভাবনা থাকে। তা সম্ভব না হলে দিনে অন্ততঃ দু’বার, শোয়ার আগে ও পরে দাঁত ব্রাশ করা উচিত। বিশেষ করে শোয়ার আগে।
সর্বশেষ কথা হচ্ছে, পান না খেলেও এবং নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলেও দাঁতে সমস্যা হতে পারে, সেটা কেবলই দুর্ভাগ্য।
নূর আহমদ : শিক্ষক
No comments:
Post a Comment